স্বদেশ ডেস্ক:
সিরাজগঞ্জে হঠাৎ করে শিশুদের মধ্যে শ্বাসকষ্ট, সর্দি-জ্বর, নিউমোনিয়া, ডায়রিয়া ও পেটের পিড়াসহ বিভিন্ন রোগ বেড়ে গেছে। বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে চিকিৎসা নিচ্ছে শত শত শিশু। চিকিৎসকরা বলছেন, ঋতু পরিবর্তনের কারণে এসব রোগে বেশি আক্রান্ত হচ্ছে শিশু ও বৃদ্ধরা।
শুক্রবার সরেজমিন ঘুরে দেখা যায়, সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল, নর্থ বেঙ্গল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতাল, বেসরকারি হাসপাতাল আভিসিনা, মেডিনোভা, কমিউনিটি হাসপাতাল, মইনউদ্দিন হাসপাতাল, শাখাওয়াত এইচ মেমোরিয়ালসহ বিভিন্ন হাসপাতালের শিশু বিভাগে ভিড় চোখে পড়ার মতো। শিশুদের পাশাপাশি বৃদ্ধরাও আক্রান্ত হচ্ছে বেশি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ প্রতিদিন নতুন নতুন রোগীর চাপ সামলাতে বেগ পেতে হচ্ছে।
নয় মাসের মেয়ে মেঘলাকে নিয়ে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে এসেছেন পৌর এলাকার সøুইজ গেট মহল্লার মগরব আলী নামে এক ব্যক্তি। ১১ দিন ধরে ঠা- ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে হাসপাতালের বেডে কাঁতরাচ্ছে তার ছোট্ট মেয়েটি। জেলার রায়গঞ্জ উপজেলার চান্দাইকোনা ইউনিয়নের ২২ দিনের শিশু জুনায়েদকে ভর্তি করিয়েছেন তার অভিভাবকরা। ঠা-া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত সে। কামারখন্দ উপজেলায় নূর ইসলামের ২ মাসের পুত্রসহ আরও ৪০ থেকে ৫০ জন শিশু সদর হাসপাতালের পুরাতন ভবনের ৪র্থ তলার শিশু বিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছে। বেডের থেকে রোগীর সংখ্যা বেশি হওয়ায় মেঝেতে চিকিৎসা নিচ্ছে অনেক রোগী। কেউ কেউ আবার সরকারি হাসপাতলে জায়গা না পেয়ে তাদের রোগীকে অন্যান্য ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করছেন। সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যার বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত ডা. ফয়সাল আহমেদ ও শামিমুল ইসলাম বলেন, আগের থেকে তিনগুণ বেশি রোগী ভর্তি হচ্ছে। আগামীতে আরও বাড়তে পারে। তবে এ শিশুদের প্রতি অভিভাবকদের সজাগ থাকতে হবে। ঠা-ায় ছোট বাচ্চাদের গরম কাপড় পরাতে হবে। নিয়মিত ডাক্তারের সঙ্গে পরামর্শ করতে হবে। এ বিষয়ে শিশু বিভাগের মেডিক্যাল অফিসার ডাক্তার সুমনা লায়লা বলেন, আক্রান্ত ছোট্ট শিশুদের মায়ের বুকের দুধ ও তরল জাতীয় খাবার দিতে হবে। যেসব বাচ্চা খেতে পারে তাদের ভিটামিন যুক্ত খাবার দিতে হবে। এসি থেকে দূরে রাখতে হবে। ভয়ের কারণ নেই। মূলত ঋতু পরিবর্তনের ফলে এ রোগগুলোয় বেশিরভাগ আক্রান্ত হয় বৃদ্ধ ও শিশুরা।